প্রিয়নবী ﷺ এর ৪০টি হারিয়ে যাওয়া প্রিয় সুন্নাহ

বিভাগ: বেসিক ইসলাম

সম্ভাব্য পড়ার সময়: ৫ মিনিট

আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ ﷺ এর অনেক সুন্নাহ আমাদের অজানা, সেগুলো অবহেলাজনিত বা ভুলে যাওয়ার কারণে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সেগুলো আমল করা হয়ে উঠে না। এই ছোট ছোট কাজগুলো অনেক গুরুত্ব বহন করে। তেমনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ৪০ টি+ হারিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে।

একনজরে...

১. রাস্তায় মানুষের কষ্ট হতে পারে এমন কিছু দেখলে রাস্তা থেকে সরিয়ে যথাস্থানে ফেলা/রাখা

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশি। অথবা ষাটটির কিছু বেশি। এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে (আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই) এ কথা স্বীকার করা, আর এর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জা ঈমানের একটি বিশেষ শাখা। [সহীহ মুসলিম ৫৯ (হাদীস একাডেমী)]

২. সিজদাতুস শুকুর বা শুকরিয়া সিজদাহ

কোনো সুসংবাদ পেয়ে আল্লাহ তা’আলার প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরুপ সিজদাহ দেওয়া। মহান প্রতিপালক আল্লাহ আমাদেরকে কত নেয়ামত দান করেছেন, তা গুনে শেষ করা যায় না। এই সকল নেয়ামতের শুক্‌র আদায় করা বান্দার জন্য ফরয। শুক্‌র আদায়ের নিয়ম হল, প্রথমত: অন্তরে এই স্বীকার করা যে, এই নেয়ামত আল্লাহর তরফ থেকে আগত। দ্বিতীয়ত: মুখে তার শুক্‌র আদায় করা। তৃতীয়ত: কাজেও শুক্‌র প্রকাশ করা। অর্থাৎ, সেই নেয়ামত তাঁরই সন্তুষ্টির পথে খরচ করা। অন্যথা নাশুকরী বা কৃতঘ্নতা হবে।
হ্‌ঠাৎ কোন সুসংবাদ, সুখের খবর বা সম্পদ লাভের খবর পেলে অথবা বড় বিপদ দূর হওয়ার সংবাদ শুনলে মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে শুকরানার (একটি) সিজদাহ মুস্তাহাব।

মহানবী (ﷺ) কোন আনন্দদায়ক সংবাদ শুনলে অথবা শুভ সংবাদ পেলে আল্লাহ তাআলাকে শুকরিয়া জানানোর জন্য সিজদায় পতিত হতেন। [আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ১৪৯৪নং]

৩. সালাতুত তওবা

২ রাকাআত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে গুনাহ বা অপরাধের জন্য ক্ষমা চাওয়া।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি গুনাহ করার পর উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে দু রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) পড়ে আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। [সুনান ইবনু মাজাহ ১৩৯৫]

৪. সাদাকাহ করা

কোনো গুনাহ বা অন্যায় করলে তাওবার অংশ হিসেবে আল্লাহর রাস্তায় কিছু দান-সাদাকাহ করা।

মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “এবং সাদাকা (যাকাত) বা দান খায়রাত) গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়, যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। এমনিভাবে গভীর রাতে ব্যক্তির কিয়ামুল লাইল (তাহাজ্জু্র)ও গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেয়।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ২২০১৬]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমারা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ (নিজেকে রক্ষা কর) যদিও তা খেজুরের টুকরা দ্বারাও হয় (সামান্য বস্তু সদাকা করতে পারলেও তা কর)” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪১৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০১৬]

৫. অবসর সময়ে ইস্তেগফার পাঠ করা

বিশেষ করে কোনো মজলিসে বা আলোচনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) পাঠ করা। পাপের পথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার নাম ইস্তিগফার। কুরআনের বহু স্থানে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আদেশ দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেছেন,
وَاسْتَغْفِرِ اللهَ إِنَّ اللهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
‘‘আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’’[সূরা আন্ নিসা ০৪:১০৬]
নাবী (সা.) (সামান্য অন্যমনস্কতার জন্য) প্রতিদিন ১০০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। তিনি বলেছেন,

‘‘আমার অন্তর ক্ষণিক বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর আমি দিনে ১০০ বার আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই।’’[সহীহ মুসলিম : ৭০৩৩]

তিনি আরও বলেছেন,

‘‘আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি ইস্তিগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) ও তাওবাহ্ করে থাকি।’’ [সহীহুল বুখারী : ৬৩০৭]

৬. ওসিয়ত লিখে যাওয়া

অসিয়ত হলো কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পরে কোনো কিছু করা বা হওয়ার নির্দেশনা প্রদান। আমানত পৌঁছে দেওয়া, সম্পদ দান করা, কন্যা বিয়ে দেওয়া, মৃতব্যক্তিকে গোসল দেওয়া, তার জানাযা পড়ানো, মৃতব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ বন্টন করা ইত্যাদি অসিয়তের অন্তর্ভুক্ত। পরিবার পরিজনকে সম্ভোধন করে ওসিয়ত লেখার মত কোনো বিষয় থাকলে তা লিখে রাখা। (আর্থিক বা যেকোনো বিষয় নিয়ে হতে পারে)
কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার দ্বারা অসিয়ত শরী‘আতসম্মত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
كُتِبَ عَلَيْكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ ٱلْمَوْتُ إِن تَرَكَ خَيْرًا ٱلْوَصِيَّةُ لِلْوَٰلِدَيْنِ وَٱلْأَقْرَبِينَ بِٱلْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى ٱلْمُتَّقِينَ ١٨٠
“তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যে, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হবে, যদি সে কোনো সম্পদ রেখে যায়, তবে তা অসিয়ত করবে।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮০]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোনো মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয় যে, তার অসিয়তযোগ্য কিছু রয়েছে আর সে দু’রাত কাটাবে অথচ তার কাছে তার অসিয়ত লিখিত থাকবে না।”[সহীহ বুখারী, অসাইয়া, হাদীস নং ২৫৮৭]

৭. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো

এশার নামাজের পর বিলম্ব না করে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া।

মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য। ’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৯-১১)

৮. এশার নামাজের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেরি করে পড়া।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজ এক-তৃতীয়াংশ রাত পরিমাণ দেরি করে পড়া পছন্দ করতেন, আর এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৯)

৯. সম্মানিত ৪ মাসের সম্মান দেওয়া

সম্মানিত ৪ মাস গুলো হল- জ্বিলকদ, জ্বিলহজ্জ, মহররম এবং রজব। এই মাসগুলোতে রুটিন আমলগুলো আরো গুরুত্ব সহকারে করা এবং গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আলাদা চেষ্টা করা। নেক আমল বেশি বেশি করা।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাল আবর্তিত হয়েছে তার সেই অবস্থানের উপর যেভাবে আল্লাহ আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। বছর বার মাসের। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি পরপর যুল কাদা, যূল-হাজ্জাহ ও মুহাররম। আরেকটি মুদার গোত্রের রজব মাস, সেটি জুমাদা ও শাবানের মাঝখানে। [সহীহ বুখারী ৫২৫২ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)]

১০. মুহররম মাসে নফল রোজা

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মুহররম’ এর রোজা। [সহিহ মুসলিম ১১৬৩ (আন্তর্জাতিক)]

তাই এই মাসে পুরো মাসব্যাপী নফল রোজা রাখার চেষ্টা করা।

১১. বৃষ্টি হলে খালি গায়ে বৃষ্টির পানি লাগানো

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ….. আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম এমন সময় বৃষ্টি নামল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাপড় খুলে দিলেন, ফলে এতে বৃষ্টির পানি পৌছল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! এরূপ কেন করলেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কেননা এটা মহান আল্লাহর নিকট থেকে আসার সময় খুবই অল্প। [সহীহ মুসলিম ১১৬৮ (হাদীস একাডেমী)]

১২. তাহিয়্যাতুল অযু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর দুই রাকাআত সালাত আদায় করা

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে মুসলিম সুন্দরভাবে ওযু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু’ রাকাআত সালাত আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। [সহীহ মুসলিম ৪৪১ (হাদীস একাডেমী)]

১৩. বিক্রিত মাল ফেরত নেওয়া

কোনো ক্রেতা পণ্য ক্রয় করার পর তা ফেরত দিতে চাইলে সেই পণ্য ফেরত নেওয়া বা পরিবর্তন করে দেওয়া। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের (অনুরোধে তার) সাথে সম্পাদিত ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তি বাতিল করবে আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। [সুনান আবূ দাউদ ৩৪৬০ (তাহকিককৃত)]

১৪. অপরিচিত লোককে সালাম দেওয়া

’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলঃ ইসলামের কোন কাজ উত্তম? তিনি বললেনঃ

তুমি ক্ষুধার্তকে অন্ন দেবে, আর সালাম দিবে যাকে তুমি চেন আর যাকে চেন না। [বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৬২৩৬]

১৫. মেসওয়াক করা

আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ননা করেন: তিনি বলেছেন যে,

মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ ও আল্লাহ্‌র সমেত্মাষ লাভের উপায়। [সহীহ; নাসাঈ (১/৫০), আহমাদ (৬/৪৭, ৬২)]

১৬. আজানের জবাব দেওয়া

আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াজ্জিনকে শাহাদাতের শব্দ উচ্চারণ করতে শুনলে বলতেন, আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমিও অনুরূপ সাক্ষ্য দিচ্ছি। (আবূদাঊদ, সুনান ৫২৬নং) [আজানের জবাব নিয়ে আরো বিস্তারিত পড়ুন]

১৭. তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে। এটা তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। অচিরেই তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ [সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৭৯]

১৮. সালাতুত দোহা বা চাশতের নামাজ পড়া

চাশতের নামায মুস্তাহাব নফল। এই নামাযের রয়েছে বিরাট মাহাত্ম ও সওয়াব।

হযরত আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, “প্রত্যহ্‌ সকালে তোমাদের প্রত্যেক অস্থি-গ্রন্থির উপর (তরফ থেকে) দাতব্য সদকাহ্‌ রয়েছে; সুতরাং প্রত্যেক তাসবীহ্‌ হল সদকাহ্‌ প্রত্যেক তাহ্‌মীদ (আলহামদু লিল্লা-হ্‌ পাঠ) সদকাহ্‌, প্রত্যেক তাহ্‌লীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হ্‌ পাঠ) সদকাহ্‌, প্রত্যেক তকবীর (আল্লা-হু আকবার পাঠ) সদকাহ্‌, সৎকাজের আদেশকরণ সদকাহ্‌, এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধকরণও সদকাহ্‌। আর এসব থেকে যথেষ্ট হবে চাশতের দুই রাকআত নামায।” [মুসলিম ৭২০ নং]

১৯. যেকোনো কাজ পরামর্শ করে করা

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর যারা তাদের রবের আহবানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, তাদের কার্যাবলী তাদের পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পন্ন করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। [সূরা আশ-শুরা আয়াত ৩৮]

২০. বাসা থেকে বের হওয়ার সময় নফল নামাজ

বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বা সফরে যাওয়ার সময় দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়ে বের হওয়া।

মহানবী (ﷺ) বলেন, “যখন তুমি তোমার ঘর থেকে বের হওয়ার সংকল্প করবে, তখন দুই রাকআত নামায পড়; তোমাকে বাহির পথের সকল মন্দ থেকে রক্ষা করবে। আবার যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখনও দুই রাকআত নামায পড়; তোমাকে প্রবেশ পথের সকল মন্দ থেকে রক্ষা করবে।” [বাযযার, বায়হাকী শুআবুল ঈমান, জামে ৫০৫নং]

২১. বাচ্চাদেরকে সালাম দেওয়া

শিশু হলেও তাকে সালাম দেওয়া সুন্নাত এবং তা বিনয়ীর একটি নিদর্শন। আমাদের মহানবী (ﷺ) পথে চলাকালে ছোট শিশুদেরকে সালাম দিতেন। [সহীহ বুখারী ৬২৪৭ (তাওহীদ পাবলিকেশন)]

২২. ইফতার তাড়াতাড়ি করা এবং সাহরি দেরিতে করা

সময় হওয়ার সাথে সাথে শীঘ্র ইফতার করা নবুঅতের একটি আদর্শ। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তিনটি কাজ নবুয়তের আদর্শের অন্তর্ভুক্ত; জলদি ইফতার করা, দেরী করে (শেষ সময়ে) সেহরী খাওয়া এবং নামাযে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখা।’’ [ত্বাবারানী, মু’জাম, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১০৫, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৩০৩৮নং]

২৩. দোয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা

নোমান ইবনে বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দোয়াই হলো ইবাদত। অতঃপর তিলাওয়াত করেন (অনুবাদঃ) ’’এবং তোমার প্রভু বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো’’ [সুনান ইবনু মাজাহ ৩৮২৮]

২৪. ফজরের পর না ঘুমানো

ফজরের পরে সময়টাতে রাসূলে পাক (সাঃ) তার উম্মতের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। প্রিয় নবী (সাঃ) ভোরবেলায় কাজে বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। সাখর আল-গামিদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ’’হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন।’’ [আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ২৬০৬]

২৫. খাবার পড়ে গেলে তুলে পরিষ্কার করে খাওয়া

কারণ, তাতেই বরকত নিহিত থাকতে পারে। সুতরাং তা কুড়িয়ে না খেলে বরকত চলে যাবে।

মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমাদের কারো খাবারের লোকমা হাত হতে (পাত্রের বাইরে) পড়ে গেলে (এবং তাতে ময়লা লেগে গেলে) তার ময়লা দূর করে সে যেন তা খেয়ে ফেলে এবং শয়তানের জন্য ছেড়ে না দেয়। খাবার শেষে সে যেন নিজের আঙ্গুলগুলো চেঁটে খায়। কারণ তোমরা জান না যে, তোমাদের কোন্ খাবারে বরকত নিহিত আছে।’’ [মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ১৪২১৮, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৩৪]

২৬. সফর থেকে আসার পর নফল নামাজ

সফর থেকে আসার পর দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়া।

মহানবী (ﷺ) বলেন, “যখন তুমি তোমার ঘর থেকে বের হওয়ার সংকল্প করবে, তখন দুই রাকআত নামায পড়; তোমাকে বাহির পথের সকল মন্দ থেকে রক্ষা করবে। আবার যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখনও দুই রাকআত নামায পড়; তোমাকে প্রবেশ পথের সকল মন্দ থেকে রক্ষা করবে।” (বাযযার, বায়হাকী শুআবুল ঈমান, জামে ৫০৫নং)

২৭. মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাটা

হাদিসে বর্ণিহ হয়েছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাঝেমধ্যে খালি পায়ে হাঁটার নির্দেশ করেছেন। [সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং : ৪১৬০; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং : ২৩৯৬৯]

২৮. মুচকি হাসি দেওয়া, মানুষের সাথে হাসি মুখে কথা বলা।

আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে অধিক মুচকি হাস্যকারী ব্যক্তি কাউকে দেখিনি। [সহীহ শামায়েলে তিরমিযী ১৬৮]

২৯. উপরে ও নিচে যাওয়ার সময় যিকির

নিচ থেকে উপরে উঠার সময় “আল্লাহ আকবার” এবং উপরে থেকে নিচে নামার সময় “সুবহানাল্লাহ” বলা।

৩০. আল্লাহর জন্য ভালোবাসা

কাউকে পছন্দ করলে বা ভালোবাসলে তার সামনে গিয়ে বলা “আপনাকে আমি আল্লাহর জন্য ভালোবাসি”।

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্য এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। লোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অবশ্যই এ ব্যক্তিকে ভালোবাসি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কি তাকে তোমার ভালোবাসার কথা জানিয়েছো? সে বললো, না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে জানিয়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং সে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। সে বললো, যাঁর উদ্দেশ্যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন তিনিও আপনাকে ভালোবাসুন। [সুনান আবূ দাউদ ৫১২৫ (তাহকিককৃত)]

৩১. ঘুমানোর সময় অযু করে ঘুমানো

অযু করা ছাড়া না ঘুমানোর চেষ্টা করা; কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারা ইবন ‘আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

“যখন তুমি ঘুমাতে যাবে, তখন অযু করে নাও, যেমনিভাবে তুমি সালাত আদায়ের জন্য অযু করে থাক।” [বুখারী ও মুসলিম]

৩২. কেবলার দিকে থুথু না ফালানো

আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন, “কিবলার দিকে যে কফ ফেলে, তাঁর চেহারায় ঐ কফ থাকা অবস্থায় সে ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন পুনরুত্থিত করা হবে।” (বাযযার, ইবনে খুযাইমাহ, ইবনে হিব্বান, সহিহ তারগিব ২৮১ নং)

৩৩. খাওয়া শেষে আঙুল চেটে খাওয়া

খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া; আর খাবারের পাত্র চেটে খাওয়া এবং রুমাল বা টিসু দিয়ে স্বীয় আঙুলসমূহ মুছে ফেলার পূর্বে বা পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলার পূর্বে সেগুলো চেটে খাওয়া। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

“তোমাদের কেউ যখন খাবার খায়, তখন সে যেন তার আঙুলসমূহ মুছে না ফেলে, যতক্ষণ না সে তা চেটে খায় অথবা কাউকে দিয়ে চাটিয়ে নেয়।”[বুখারী, হাদিস নং- ৫১৪০; মুসলিম, হাদিস নং- ৫৪১৫]

তাছাড়া জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন:

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙুল ও খাওয়ার পাত্র চেটে খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি বলেন: ‘তোমাদের জানা নেই, তোমাদের কোন্ খাবারের মধ্যে বরকত রয়েছে।”[মুসলিম, হাদিস নং- ৫৪২০]

৩৪. সাহরিতে খেজুর খাওয়া

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈমানদার ব্যক্তির জন্য খেজুর দিয়ে সাহারী খাওয়া কতোই না উত্তম! [সুনান আবূ দাউদ ২৩৪৫ (তাহকিককৃত)]

৩৫. পানি পান করার সময় গ্লাসে বা পাত্রে নিশ্বাস না ফেলা

আবূ ক্বাতাদাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন শৌচাগারে যায় তখন তার পুরুষাঙ্গ যেন ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাত দিয়ে যেন শৌচকার্য না করে। [সহীহ বুখারী ১৫৩ (তাওহীদ পাবলিকেশন)]

৩৬. আশ্চর্য হলে আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ বলা

কোনো বিষয় দেখে আশ্চর্য হলে “আল্লাহু আকবার” বা “সুবহানাল্লাহ” বলা।

৩৭. সন্ধ্যার সময় বা সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় ছোট বাচ্চাদের বাইরে যেতে না দেওয়া

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে অথবা বলেছেন, যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে আটকিয়ে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিক্রান্ত হবে তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। [সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩০৪]

৩৮. জুমুআর রাত (বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা) থেকে জুমুআর দিনের শেষ সময় (শুক্রবার সন্ধ্যা) পর্যন্ত বেশি বেশি দুরুদ পড়া

আওস ইবনু আওস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু’আহর দিন। এদিন আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিলো, এদিনই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিলো, এদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং এদিনই বিকট শব্দ করা হবে। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, লোকজন প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রসূল! কি করে আমাদের দরূদ আপনার নিকট পেশ করা হবে? আপনি তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। বর্ণনাকারী আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, লোকেরা বুঝাতে চাচ্ছিল আপনার শরীর তো জরাজীর্ণ হয়ে মিশে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ মাটির জন্য নবী-রসূলগণের দেহকে হারাম করে দিয়েছেন। [সুনান আবূ দাউদ ১০৪৭ (তাহকিককৃত)]

৩৯. পেট ভরে না খাওয়াঃ পেটের তিনভাগের এক ভাগ খালি রেখে খাওয়া শেষ করা

ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাত পাকস্থলী ভর্তি করে কাফির খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে, আর একটিমাত্র পাকস্থলী ভর্তি করে মুমিন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে। [তিরমিজি: ১৮১৮]

৪০. সন্তান জন্ম হওয়ার পর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া

নবজাতকের কানে আযান দেওয়া সুন্নাত। আবু রাফি (রা) বলেন:

‘‘আমি দেখলাম, ফাতেমা (রা) যখন হাসানকে জন্ম দিলেন তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ হাসানের কানে নামাযের আযানের মত আযান দিলেন।’’[রেফারেন্স]

তবে বাম কানে একামত দেওয়ার বর্ণনাটি জাল পর্যায়ের। হাদীসটি নিম্নরূপ:

‘‘যদি কারো সন্তান জন্মগ্রহণ করে এবং সে তার ডান কানে আযান এবং বাম কানে ইকামত দেয় তবে ‘উম্মুস সিবইয়ান’ (জিন) তার ক্ষতি করবে না।’’

হাদীসটি আবূ ইয়ালা মাউসিলী, ইবনুস সুন্নী প্রমুখ মুহাদ্দিস ইয়াহইয়া ইবনুল আলা রাযী থেকে মারওয়ান ইবন সালিম থেকে তালহা ইবন উবাইদুল্লাহ উকাইলী থেকে ইমাম হুসাইন ইবন আলী (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ থেকে হাদীসটি সংকলন করেছেন। আর ইয়াহইয়া ইবনুল আলা এবং তার উসতাদ মারওয়ান ইবন সালিম উভয়ই জালিয়াত ছিলেন। [রেফারেন্স]

৪১. দুধ পান করার পর দোয়া করা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কেউ খাবার খাওয়ার সময় যেন বলেঃ ’’হে আল্লাহ! আমাদেরকে এর মধ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়ে উত্তম খাবার দান করুন।’’ এবং দুধ পানের সময় যেন বলেঃ ’’হে আল্লাহ! আমাদেরকে এর মধ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়ে আরো বৃদ্ধি করে দিন।’’ কেননা একমাত্র দুধই খাদ্য ও পানীয় উভয়ের কাজ দেয়। [সুনান আবূ দাউদ ৩৭৩০ (তাহকিককৃত)]

اَللَّهُمَّ بَاركْ لنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়াজিদনা মিনহু।’

৪২. চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ রোজা রাখা

ইবনু মিলহান আল-কায়সী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আইয়ামে বীয অর্থাৎ চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সওম পালনে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এগুলো সারা বছর সওম রাখার সমতুল্য। [সুনান আবূ দাউদ ২৪৪৯ (তাহকিককৃত)]

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের উক্ত আমলগুলো দৈনন্দিন জীবনে পালন করার তৌফিক দান করুন, আমিন।

লেখাটির দাওয়াহ প্রিন্ট-ভার্সন পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

উক্ত লেখাটির কনসেপ্ট শায়েখ আহমাদুল্লাহ এর লেকচার থেকে সংগৃহীত।

শেয়ার:
guest

0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments