Sunnah Related to Sleep

ঘুমের সুন্নতসমূহ

বিভাগ: বেসিক ইসলাম

সম্ভাব্য পড়ার সময়: ২ মিনিট

মানুষকে দুনিয়ায় কাজ করার যোগ্য করার জন্য মহান আল্লাহ অত্যন্ত কর্মকুশলতা সহকারে তার প্রকৃতিতে ঘুমের এক চাহিদা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। ঘুম আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিআমত। বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ অনুগ্রহ। কর্মের ক্লান্তির পর ঘুম তাকে স্বস্তি, আরাম ও শান্তি দান করে। এ নিআমতের কথা তুলে ধরে মহান আল্লাহ বলেনঃ

আর তাঁর অনুগ্রহে তিনি তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা বিশ্রাম নিতে পার এবং তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যেন তোমরা শোকর আদায় করতে পার। (সূরা আল-কাসাস | আয়াত ৭৩)

আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি বিশ্রাম। (সূরা আন-নাবা | আয়াত ৯)

তিনি রাত সৃষ্টি করেছেন শান্তি ও আরামের জন্য..(সূরা আল-আন’আম | আয়াত ৯৬)

ঘুমের কিছু সুন্নত ও আদাব নিচে উল্লেখ করা হলঃ

ঘুমের পূর্বে ওযু করা

বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন সালাতের উযূর মতো উযূ করে নেবে।… (সহীহ বুখারী। ২৪৭)

ঘুমের পূর্বে বিছানা ঝেড়ে নেয়া

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের কোন ব্যক্তি শয্যা গ্রহণ করতে যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ, সে জানে না যে, বিছানার উপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোন কিছু আছে কিনা।…(সহীহ বুখারী। ৬৩২০)

ঘুমানোর সময় ঘরে আগুন না রাখা

অসাবধানতাবশত আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে এমন উৎসসমূহ ঘুমের পূর্বে নিভিয়ে ফেলা উচিত।

সালিম (রহ.) তাঁর পিতা থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ যখন তোমরা ঘুমাবে তখন তোমাদের ঘরে আগুন রেখে ঘুমাবে না। (সহীহ বুখারী। ৬২৯৩)

আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাত্রি কালে মদিনার এক ঘরে আগুন লেগে ঘরের লোকজনসহ পুড়ে গেল। এদের অবস্থা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করা হল। তিনি বললেনঃ এ আগুন নিঃসন্দেহে তোমাদের চরম শত্রু। সুতরাং তোমরা যখন ঘুমাতে যাবে, তখন তা নিভিয়ে দিবে। (সহীহ বুখারী। ৬২৯৪)

ঘুমানোর পূর্বে পাত্র, মশক ইত্যাদির মুখ ঢেকে রাখা

ইসলামের শিক্ষা হল খাবার এবং পানপাত্র ব্যবহারের পর তা ঢেকে রাখা। খোলা না রাখা। যেন ময়লা আবর্জনা থেকে সুরক্ষিত থাকে এবং কীট-পতঙ্গ ইত্যাদির বিচরণ থেকে হেফাযত থাকে। বিশেষত রাতে শয্যাগ্রহণের পূর্বে এসব পানাহারের পাত্র ঢেকে রাখার প্রতি শরীয়তের বিশেষ নির্দেশ এসেছে।

জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা বাসনগুলো আবৃত রাখবে এবং মশকসমূহের মুখ বেঁধে রাখবে। কারণ বছরে একটি এমন রাত আছে, যে রাতে মহামারী অবতীর্ণ হয়। যে কোন খোলা পাত্র এবং বন্ধনহীন মশকের উপর দিয়ে তা অতিবাহিত হয়, তাতেই সে মহামারী নেমে আসে। (সহীহ মুসলিম। ২০১৪)

ঘুমানোর আগে পঠিত সূরাসমূহ

জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) সূরা সাজদাহ ও সূরা মুলক তিলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না। [১]

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) সূরা বানী ইসরাঈল ও সূরা যুমার তিলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না। অন্য হাদীসে আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) প্রত্যেক রাতে সূরা সাজদাহ ও সূরা যুমার পাঠ করতেন। [২]

রেফারেন্সঃ [১] সহিহ। তিরমিযীঃ ৩৪০৪, [২] সহিহ। তিরমিযীঃ ২৯২০

ঘুমের পূর্বে তিন কুল পড়া

ঘুমের পূর্বে তিন কুল পড়া মুস্তাহাব। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী আমল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত এ আমল করতেন।

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। (সহীহ বুখারী। ৫০১৭)

ঘুমের পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা

রাতে ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়া হলে তার জন্য আল্লাহ তাআলা একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে রমাযানে যাকাতের মাল হিফাজতের দায়িত্ব দিলেন। এক সময় এক ব্যক্তি এসে খাদ্য-সামগ্রী উঠিয়ে নেয়ার উপক্রম করল। আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি তোমাকে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে যাব। এরপর পুরো হাদীস বর্ণনা করেন। তখন লোকটি বলল, যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন, তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ করবেন। এর কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত করা হবে এবং ভোর পর্যন্ত শায়ত্বন আপনার কাছে আসতে পারবে না। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঘটনা শুনে) বললেন, (যে তোমার কাছে এসেছিল) সে সত্য কথা বলেছে, যদিও সে বড় মিথ্যাচারী শায়ত্বন। (সহীহ বুখারী। ৫০১০)

সূরা কাফিরূন পাঠ করা

ফারওয়াহ ইবনু নাওফাল (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাওফাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি “কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন” সূরাটি পড়ে ঘুমাবে। কেননা তা শিরক হতে মুক্তকারী। (সুনানে আবু দাউদ । ৫০৫৫)

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া

আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেটাই তার জন্য যথেষ্ট। (সহীহ বুখারী। ৫০০৯)

ডান কাত হয়ে শোয়া

বারাআ ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ যখন তুমি শোয়ার বিছানায় যেতে চাও, তখন তুমি সালাতের অযূর মত অযূ করবে। এরপর ডান পাশের উপর কাত হয়ে শুয়ে পড়বে।…… (সহীহ বুখারী। ৬৩১১)

বারাআ ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নিজ বিছানায় বিশ্রাম নিতে যেতেন, তখন তিনি ডান পাশের উপর নিদ্রা যেতেন এবং বলতেনঃ হে আল্লাহ! আমি আমার সত্তাকে আপনার কাছে সমর্পণ করলাম, আর আমার বিষয় ন্যস্ত করলাম আপনার দিকে এবং আমার চেহারা আপনারই দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আপনার রহমতের আশায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি শয়নকালে এ দু’আগুলো পড়বে, আর এ রাতেই তার মৃত্যু হবে সে স্বভাব ধর্ম ইসলামের উপরই মরবে। (সহীহ বুখারী। ৬৩১৫)

*উপুড় হয়ে শোয়া মাকরূহ

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে পেটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা এ রকম শোয়া পছন্দ করেন না। (তিরমিজী। ২৭৬৮)

ডান গালের নিচে ডান হাত রাখা এবং ঘুমের দুআ পড়া

হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাতে নিজ বিছানায় শোয়ার সময় নিজ হাত গালের নীচে রাখতেন, তারপর বলতেনঃ হে আল্লাহ! আপনার নামেই মরি, আপনার নামেই জীবিত হই। আর যখন জাগতেন তখন বলতেনঃ সে আল্লাহ্‌র জন্য প্রশংসা, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করলেন এবং তাঁরই দিকে আমাদের পুনরুত্থান। (সহীহ বুখারী। ৬৩১৪)

দুআসমুহঃ

১)

اَللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوْتُ وَأَحْيَا

আল্লা-হুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া

হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার নামে মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার নামেই জীবিত হই।

রেফারেন্সঃ বুখারীঃ ৬৩১৪

অথবা,

بِاسْمِكَ اَللَّهُمَّ أَمُوْتُ وَأَحْيَا

বিসমিকা, আল্লা-হুম্মা, আমূতু ওয়া আ’হইয়া-

আপনারই নামে, হে আল্লাহ্‌, আমি মৃত্যুবরণ করি এবং জীবিত হই।

রেফারেন্সঃ বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৩, নং ৬৩২৪; মুসলিম ৪/২০৮৩, নং ২৭১১

২)

بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي، وَبِكَ أَرْفَعُهُ، فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا، وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا، بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ

বিসমিকা রব্বী ওয়াদ্বা‘তু জাম্বী, ওয়া বিকা আরফা‘উহু। ফাইন্ আম্‌সাকতা নাফ্‌সী ফার’হামহা, ওয়াইন আরসালতাহা- ফা’হ্‌ফায্‌হা- বিমা তা’হ্‌ফাযু বিহী ‘ইবা-দাকাস সা-লিহীন

আমার রব্ব! আপনার নামে আমি আমার পার্শ্বদেশ রেখেছি (শুয়েছি) এবং আপনারই নাম নিয়ে আমি তা উঠাবো। যদি আপনি (ঘুমন্ত অবস্থায়) আমার প্রাণ আটকে রাখেন, তবে আপনি তাকে দয়া করুন। আর যদি আপনি তা ফেরত পাঠিয়ে দেন, তাহলে আপনি তার হেফাযত করুন যেভাবে আপনি আপনার সৎকর্মশীল বান্দাগণকে হেফাযত করে থাকেন।

রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী ৬৩২০

৩)

اَللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ

আল্লা-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব‘আছু ‘ইবা-দাক

হে আল্লাহ্‌! আমাকে আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন।

রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ ৫০৪৫

৪)

اَللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِيْ إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ

আল্লা-হুম্মা আস্‌লামতু নাফ্‌সী ইলাইকা, ওয়া ফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্‌তু ওয়াজহি ইলাইকা, ওয়াআলজা’তু যাহ্‌রী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা। লা মালজা’আ ওয়ালা মান্‌জা- মিনকা ইল্লা ইলাইকা। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা

হে আল্লাহ্‌! আমি নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় আপনার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারা আপনার দিকেই ফিরালাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকে আপনার দিকেই ন্যস্ত করলাম; আপনার প্রতি অনুরাগী হয়ে এবং আপনার ভয়ে ভীত হয়ে। একমাত্র আপনার নিকট ছাড়া আপনার (পাকড়াও) থেকে বাঁচার কোনো আশ্রয়স্থল নেই এবং কোনো মুক্তির উপায় নেই। আমি ঈমান এনেছি আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর।

রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) যাকে এ দোয়াটি শিক্ষা দিলেন, তাকে বলেন: “যদি তুমি ঐ রাতে মারা যাও তবে ‘ফিতরাত’ তথা দীন ইসলামের উপর মারা গেলে।”

রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম ৬৭৭৫

শয়নকালে (তাসবিহ তাহমিদ তাকবীর) পড়া

ফাতিমা (রাঃ) একটি খাদিম চাইতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলেন। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে অধিক কল্যাণদায়ক বিষয়ে খবর দিব না? তুমি শয়নকালে তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’, তেত্রিশবার ‘আল্‌ হাম্‌দুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে (সহীহ বুখারী। ৫৩৬২)

ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর পর সুন্নত

১) দুআঃ

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ

আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর

হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান।

রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারী ৬৩১৪

২) হাত দিয়ে চোখ মোছা

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘুম থেকে উঠে হাত দিয়ে তার মুখমন্ডল থেকে ঘুমের আবেশ মুছতে লাগলেন। ~রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী ১৮৩

৩) মিসওয়াক করা

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন। ~রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী ২৪৫

শেয়ার:
guest

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments