একনজরে...
১) আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক প্রিয় বাক্য
অর্থঃ আল্লাহ্ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ্ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ্ সবচেয়ে বড়। [১]
ফজিলতঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরও বলেন, “সূর্য যা কিছুর উপর উদিত হয় তার চেয়ে এগুলো বলা আমার কাছে অধিক প্রিয়।” [২] রেফারেন্সঃ [১] মুসলিমঃ ২১৩৭ [২] মুসলিমঃ ২৬৯৫
২) বিশেষ ফযীলতপূর্ণ দুআ
ফজিলতঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি উপরোক্ত কথাটি ১০ বার বলবে এটা তার জন্য এমন হবে যেন সে ইসমাঈল (আঃ)-এর সন্তানদের চারজনকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করল। রেফারেন্সঃ বুখারী ৬৪০৪আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে লোক একশ’বার এ দু’আটি পড়বেঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহুদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া হুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই; রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। তাহলে,১) দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সাওয়াব তার হবে।২) তার জন্য একশটি সাওয়াব লেখা হবে এবং আর একশটি গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে।৩) ঐদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান হতে মাহফুজ থাকবে।৪) কোন লোক তার চেয়ে উত্তম সাওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে ঐ দু’আটির ’আমল বেশি পরিমাণ করবে। রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারী ৩২৯৩ (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৩) জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার
ফজিলতঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, “ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?” আমি বললাম, “নিশ্চয়ই হে আল্লাহ্র রাসূল।” তিনি বললেন, তুমি বলো – (উপরে উল্লেখিত দোয়া) রেফারেন্সঃ বুখারী ৬৩৮৪
৪) গুনাহ মাফ চাওয়া
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা গণনা করে দেখতাম, আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) এক বৈঠকে একশত বার এই বাক্য বলেছেন –
৫) এমন যিকির যা জবানে সহজ আর মীযানের পাল্লায় ভারী
৬) সমুদ্রের ফেনা সমপরিমাণ গুনাহ মুছে ফেলা
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে –
উচ্চারণঃ সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী
অর্থঃ আমি আল্লাহ্র প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
ফজিলতঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে (উপরোক্ত বাক্য) তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। রেফারেন্সঃ বুখারী ৬৪০৫
৭) জান্নাতের একটি খেজুর গাছ রোপন
ফজিলতঃ যে ব্যক্তি বলবে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে। রেফারেন্সঃ সহীহ। তিরমিযী ৩৪৬৪
৮) দ্বীনের উপর অটল থাকার দোয়া
ফজিলতঃ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আপনি এ দোয়াটি অধিক পরিমাণে পড়েন কেন?” নবী (ﷺ) বলেন, “হে উম্মু সালামা (রাঃ)! এমন কোনও আদম (আঃ)-সন্তান নেই, যার ক্বলব আল্লাহ্র দু আঙুলের মাঝখানে নেই; তিনি যাকে চান সোজা রাখেন, আর যাকে চান বাঁকা করে দেন।” রেফারেন্সঃ সহীহ তিরমিযী ৩৫২২
৯) জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়া
ফজিলতঃ আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কাছে তিনবার জান্নাত চায়, তখন জান্নাত বলে- হে আল্লাহ্, তুমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও; আর যে ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে সুরক্ষা চায়, তখন জাহান্নাম বলে- হে আল্লাহ্, তুমি তাকে জাহান্নাম থেকে সুরক্ষা দাও। রেফারেন্সঃ ইবনু মাজাহ ৯১০, তিরমিযি ২৫৭২
১০) দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও কল্যাণ চাওয়া
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াহ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ‘আফিয়াহ’ চাই।
ফজিলতঃআব্বাস ইবনু আবদিল মুত্তালিব (রাঃ) বলেন, ‘আমি বললাম, “হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আমাকে এমন একটি জিনিস শিখিয়ে দিন, যা আমি আল্লাহ্র কাছে চাইব।” নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ্র কাছে (আফিয়াহ) কল্যাণ চান।” কিছুদিন পর আমি এসে বলি, “হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আমাকে এমন একটি জিনিস শিখিয়ে দিন, যা আমি আল্লাহ্র কাছে চাইব।” নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ্র রাসূলের চাচা আব্বাস! আল্লাহ্র কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ (আফিয়াহ) চান।” রেফারেন্সঃ তিরমিযী ৩৫১৪
১১) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর উপর দরূদ পড়া
ফযীলতঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : “যে ব্যক্তি সকালে দশ বার ও সন্ধ্যায় দশ বার আমার উপর দুরুদ পড়বে, সে কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত লাভ করবে।”
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ্ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, ১০টি পাপ মোচন করে দিবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন। রেফারেন্সঃ সুনান আন-নাসায়ী ১২৯৭ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরও বলেন, “যখন কোনো ব্যক্তি আমাকে সালাম দেয়, তখন আল্লাহ্ আমার রূহ ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি সালামের জবাব দিতে পারি।” রেফারেন্সঃআবূ দাঊদ ২০৪১ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরও বলেন, “পৃথিবীতে আল্লাহ্র একদল ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা রয়েছে যারা উম্মতের পক্ষ থেকে প্রেরিত সালাম আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয়।” রেফারেন্সঃ নাসাঈ ১২৮২ নবী (ﷺ) আরও বলেন, “যার সামনে আমার নাম উল্লেখ করা হলো অতঃপর সে আমার উপর দরূদ পড়লো না, সে-ই কৃপণ।” রেফারেন্সঃ তিরমিযী ৩৫৪৬
রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন’। রেফারেন্সঃ আবূ দাঊদ ১৫৩০