একনজরে...
১) সূরা ইখলাস ১০ বার পাঠ করা
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্র নামে। (১) বল, তিনিই আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। (২) আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। (৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। (৪) আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই। (সূরা ইখলাসঃ ১-৪)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন: “যে ব্যক্তি ১০ বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, আল্লাহ্ তাঁর জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে রাখবেন।” ~রেফারেন্সঃ সহীহ। সহীহ আল-জামিঃ ৬৪৭২
২) ১২ রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ
উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি দিন রাতে বার রাক’আত নামায আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে।
যুহরের নামাযের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত, মাগরিবের নামাযের পরে দুই রাকাআত, ইশার নামাযের পরে দুই রাকাআত এবং ভোরের ফজরের নামাযের পূর্বে দুই রাকাআত। https://is.gd/GEoeo7
~রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী ৪১৫ (তাহকীককৃত); নাসায়ী ১৮০১, ইবনু মাজাহ ১১৪১
৩) বাজার, শহর বা কর্মস্থলের প্রবেশের সময় দু’আটি পড়লে
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি বাজারে (শহর, বন্দর বা কর্মস্থলে) প্রবেশ করে এ যিক্র গুলো বলবে, আল্লাহ্ তাঁর জন্য দশ লক্ষ সাওয়াব লিখবেন, তাঁর দশ লাখ (সাধারণ ছোট-খাট) গোনাহ মুছে দিবেন, তাঁর দশ লাখ মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি করবেন।” ~রেফারেন্সঃ তিরমিযীঃ ৩৪২৮
৪) আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মাসজিদ বানিয়ে দিলে
যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সুপ্রসন্নতা অর্জনের উদ্দেশ্যে একটি মাসজিদ তৈরী করে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটি ঘর তৈরী করেন। ~রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)৩১৮
৫) উত্তম কথা বলা, ক্ষুধার্ত কে খাওয়ানো,রোজা রাখা,তাহাজ্জুদ আদায়
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতের প্রাসাদগুলো এমন হবে যে, এর ভিতর থেকে বাইরের সবকিছু দেখা যাবে এবং বাইরে থেকে ভিতরের সবকিছু দেখা যাবে। এক বেদুঈন উঠে দড়িয়ে প্রশ্ন করলে, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব প্রসাদ কাদের জন্য? তিনি বললেনঃ যারা উত্তম ও সুমধুর কথা বলে, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়, প্রায়ই রোযা রাখে এবং লোকেরা রাতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় জাগ্রত থেকে আল্লাহ তা’আলার জন্য নামায আদায় করে তাদের জন্য। ~রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)২৫২৭
৬) সঠিক থাকার পরেও তর্ক পরিহার করলে
রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার। ~রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮০০
৭) সন্তান মারা গেলে সবর করলে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দার কোন সন্তান মারা গেলে তখন আল্লাহ্ তা’আলা তার ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানকে কি ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় আল্লাহ্ তায়ালা প্রশ্ন করেন, তোমরা তার হৃদয়ের টুকরাকে ছিনিয়ে আনলে? তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় তিনি প্রশ্ন করেন, তখন আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে, সে আপনার প্রতি প্রশংসা করেছে এবং ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করেছে। আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, জান্নাতের মধ্যে আমার এই বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম রাখ “বাইতুল হামদ” বা প্রশংসালয়। ~রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)১০২১
৮) মজা করেও মিথ্যা কথা না বললে
রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার। ~রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮০০
৯) উত্তম আখলাক বজায় রাখলে
রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার। ~রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮০০
১০) রোগীকে দেখতে গেলে
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি রোগীকে দেখতে গেলে আকাশ থেকে একজন আহবানকারী তাকে ডেকে বলেন, তুমি উত্তম কাজ করেছো, তোমার পথ চলা কল্যাণময় হোক এবং তুমি জান্নাতে একটি বাসস্থান নির্ধারণ করে নিলে। ~রেফারেন্সঃ সুনানে ইবনে মাজাহ ১৪৪৩