একনজরে...
১. নিরুপায় ব্যক্তির দোয়া
আল্লাহ তা’আলা বলেন – তিনি, যিনি নিরুপায়ের আহবানে সাড়া দেন এবং বিপদ দূরীভূত করেন।
(সূরা আন-নামল ২৭:৬২)
২. এক মুসলিমের অনুপস্থিতিতে আরেক মুসলিমের দোয়া
নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘এক মুসলিমের অনুপস্থিতিতে তার আরেক মুসলিম ভাই দোয়া করলে, ওই দোয়া কবুল হয়; তার মাথার পাশে একজন ফেরেশতা থাকে, যখনই সে তার ভাইয়ের কল্যাণের জন্য দোয়া করে, তখনই তার জন্য নিযুক্ত ফেরেশতা বলে ওঠে-তোমাকেও অনুরূপ দেওয়া হোক!’ (মুসলিম ৬৮২২)
৩. মজলুমের দোয়া
নবী (ﷺ) বলেন, “মজলুমের ফরিয়াদ থেকে সতর্ক থেকো, কারণ মজলুমের ফরিয়াদ ও আল্লাহর মধ্যে কোনও পর্দা থাকে না।” (বুখারী ১৪৯৬)
৪. রোযাদারের দোয়া
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ইফতারের আগ পর্যন্ত রোযাদারের দোয়া, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া ও মজলুমের দোয়া; আল্লাহ (তাদের) দোয়াকে মেঘমালার উপরে উঠিয়ে এর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেন। এরপর আল্লাহ বলেন, “আমার শক্তিমত্তার কসম! একটু পরে হলেও, আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব। (তিরমিযি ৩৫৯৮)
৫. মুসাফিরের দুআ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়, এতে কোন সন্দেহ নাই। (১) মযলুম বা নির্যাতিতের দোয়া (২) মুসাফিরের দোয়া এবং (৩) সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া। (আদাবুল মুফরাদ ৩২)
৬. সন্তানের জন্য পিতামাতার দুআ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়, এতে কোন সন্দেহ নাই। (১) মযলুম বা নির্যাতিতের দোয়া, (২) মুসাফিরের দোয়া এবং (৩) সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দোয়া। (আদাবুল মুফরাদ ৩২)
৭. নেক সন্তান
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিন প্রকার আমল ছাড়া। ১. সাদাকা জারিয়াহ অথবা ২. এমন ইলম যার দ্বারা উপকার হয় অথবা ৩. পুণ্যবান সন্তান যে তার জন্যে দু’আ করতে থাকে। (মুসলিম ১৬৩১)
৮.অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকিরকারী
আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না:
অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকিরকারী,মজলুম ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের দুআ
বাজ্জার ৪/৩৯/৩১৪০
৯. হজ্ব আদায়কারী,উমরা পালনকারী ও মুজাহিদের দুআ
নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহর রাস্তায় লড়াইকারী, হজ্জ আদায়কারী ও উমরা পালনকারী। তারা হলেন আল্লাহর প্রতিনিধি; তিনি তাদের ডেকেছেন আর তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন; (সুতরাং) তারা আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে, তিনি তাদের দেবেন।” (ইবনু মাজাহ ২৮৯৩)
১০. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া
আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ইফতারের আগ পর্যন্ত রোযাদারের দোয়া, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া ও মজলুমের দোয়া; আল্লাহ্ (তাদের) দোয়াকে মেঘমালার উপরে উঠিয়ে এর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেন। এরপর আল্লাহ্ বলেন, “আমার শক্তিমত্তার কসম! একটু পরে হলেও, আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব। (তিরমিযি ৩৫৯৮)
১১. নেক বান্দার দুআ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ যে ব্যাক্তি আমার কোন ওলীর সঙ্গে শত্রুতা রাখবে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করি। আমার বান্দা আমি যা তার উপর ফরয করেছি সেই ইবাদতের চাইতে আমার কাছে অধিক প্রিয় কোন ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে সবকিছু দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যার দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কোন কিছু সাওয়াল করে, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় চায়, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যে কোন কাজ করতে চাইলে এটাতে কোন রকম দ্বিধা সংকোচ করি-না যতটা দ্বিধা সংকোচ মুমিন বান্দার প্রাণ হরণে করি। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার কষ্ট অপছন্দ করি। (বুখারী ৬৫০২)
১২. যে ব্যক্তি ওযু করে যিকির করতে করতে ঘুমিয়ে যায়
নবী (ﷺ) বলেন, “কোনও মুসলিম যদি ওযূ করে আল্লাহর যিকর করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে, তারপর রাতে উঠে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনও কল্যাণ চায়, আল্লাহ তাকে তা অবশ্যই দেবেন।” (আবু দাউদ ৫০৪২)