একনজরে...
১. আজানের সময়
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মুয়াজ্জিনরা যেরূপ বলে থাকে তোমরাও সেরূপ বলবে। অতঃপর আযান শেষ হলে (আল্লাহর নিকট) দু‘আ করবে। তখন তোমাকে তা-ই দেয়া হবে । (সুনানে আবু দাউদ ৫২৪)
২. আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দু’আ কখনো প্রত্যাখ্যাত হয় না। (সুনানে আবু দাউদ ৫২১)
৩. ইকামতের সময়
নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, যখন সালাতের জন্য আযান দেওয়া হয় তখন আকাশের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং দোয়া কবুল করা হয়। (সিলসিলা সহীহাহ ১৪১৩)
৪. ফরয সালাতের পর
হে আল্লাহ্র রাসূল! কোন সময়ের দু’আ বেশী গ্রহণযোগ্য হয়? রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শেষ রাতের মাঝ ভাগের এবং ফরয নামায গুলোর পরবর্তী দু’আ। (তিরমিযী ৩৪৯৯)
৫. তাশাহুদের পর
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমাদের কেউ সলাত আদায়কালে যেন সর্বপ্রথম তাঁর প্রভুর মহত্ব ও প্রশংসা বর্ণনা করে এবং পড়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর দরূদ পাঠ করে, অতঃপর ইচ্ছানুযায়ী দু‘আ করে। (সুনানে আবু দাউদ ১৪৮১)
৬. নামাজের সিজদায়
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, বান্দার সিজদারত অবস্থায়ই তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ লাভের সর্বোত্তম অবস্থা। অতএব তোমরা অধিক পরিমাণে দু’আ পড়ো। (সহীহ মুসলিম ৯৭০)
৭. সূরা ফাতিহা ও সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তিলাওয়াত এর পর
একজন ফেরেশতা আকাশ থেকে নেমে সালাম দিয়ে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, আপনি আপনাকে দেয়া দু’টি নূর বা আলোর সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনার পূর্বে আর কোন নবীকে তা দেয়া হয়নি। আর ঐ দু’টি নূর হ’ল ফা-তিহাতুল কিতাব বা সূরাহ আল ফাতিহাহ এবং সূরাহ আল বাকারাহ-এর শেষাংশ। এর যে কোন হারফ আপনি পড়বেন তার মধ্যকার প্রার্থিত বিষয় আপনাকে দেয়া হবে। (সহীহ মুসলিম ১৭৬২)
৮. ইখলাস সহকারে কোনো নেক আমলের পর
গুহাবাসীদের ঘটনা-সংক্রান্ত হাদীসে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, কারণ তাদের প্রত্যেকে এমন একটি করে ভালো কাজের কথা উল্লেখ করেছে, যা সে আল্লাহ্র নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের জন্য করেছে; এরপর সে তার ওই ভালো কাজের ওসীলা দিয়ে আল্লাহ্র কাছে দোয়া করলে, আল্লাহ্ তার ডাকে সাড়া দেন। (সহীহ বুখারী ২২১৫)
৯. শেষ রাতের দুআ
আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেনঃ কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছে এমন যে, আমার নিকট চাইবে। আমি তাকে তা দিব। কে আছে এমন যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহীহ বুখারী ১১৪৫)
১০. রাতের একটি নির্দিষ্ট সময়ে দুআ
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাতের মধ্যে একটি বিশেষ সময় আছে, সে সময় কোন মুসলিম বান্দা যদি আল্লাহর কাছে কোন কল্যাণ প্রার্থনা করে তাহলে তিনি তাকে তা দান করেন। (মুসলিম ১৬৫৬)
১১. জুমুআর দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জুমু’আহর দিনের বার ঘন্টার মধ্যে এমন একটি মুহুর্ত রয়েছে যদি কোন মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহুর্তটি তোমরা ‘আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। (সুনানে আবু দাউদ ১০৪৮)
১২. ইফতারের সময়
আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “ইফতারের সময় সাওম পালনকারীর জন্য এমন একটি দোয়ার সুযোগ থাকে, যা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (আলফুতুহাতুর রাব্বানিয়্যাহ ৪/৩৪২)
১৩. বৃষ্টির সময়
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দুই সময়ের দু’আ প্রত্যাখ্যাত হয় না অথবা খুব কমই প্রত্যাখ্যাত হয়। আযানের সময়ের দু’আ এবং যখন একে অপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত থাকে। বৃষ্টির সময়ের দু’আও (কবুল হয়ে থাকে)। (সুনানে আবু দাউদ ২৫৪০)
১৪. জমজম এর পানি পানের সময়
রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যমযমের পানি যে উপকার লাভের আশায় পান করা হবে তা অর্জিত হবে। (ইবনে মাজাহ ৩০৬২)
১৫. মোরগ ডাকার সময়
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন তোমরা আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে দু’আ কর। কেননা এ মোরগ ফেরেশতাদের দেখে। (বুখারী ৩৩০৩)
সুন্দর।
❤️