একনজরে...
ফযীলত
১) সিয়াম একমাত্র আল্লাহর জন্য
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “মানব সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের সাওয়াব দশ গুন থেকে সাতশ’ গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ্ বলেন, “কিন্তু সিয়াম আমারই জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিফল দান করব। বান্দা আমারই জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।”
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৯৭, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৫১
২) রোযা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যুদ্ধের মাঠে ঢাল যেমন তোমাদের রক্ষাকারী, রোযাও তদ্রূপ জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল।
রেফারেন্সঃ সুনান ইবনু মাজাহ ১৬৩৯
৩) সিয়াম পালনকারীদের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে কস্তুরীর সুগন্ধির চেয়েও উত্তম
আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ “মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, মানব সন্তানের যাবতীয় কাজ তার নিজের জন্য। কিন্তু সিয়াম (রোজা/রোযা), এটা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব”। সে মহান সত্তার শপথ, যার হাতের মুঠোয় মুহাম্মাদের জীবন! নিশ্চয়ই সিয়াম (রোজা/রোযা) পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে কস্তুরীর সুগন্ধির চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৯৪; আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৫১
৪) জাহান্নাম থেকে সুরক্ষা
আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করে, আল্লাহ তা’আলা তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের পথ দূরে রাখবেন।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম ২৬০৩ (হাদীস একাডেমী), আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৫৩
৫) সিয়াম পালনকারী ও জাহান্নামের মাঝে দূরত্ব
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোক যদি একদিন আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় রোযা আদায় করে তাহলে আল্লাহ্ তা’আলা তার ও জাহান্নামের মাঝখানে আকাশ ও যমীনের মাঝখানের দূরত্বের সমতুল্য একটি পরিখা সৃষ্টি করে দিবেন।
রেফারেন্সঃ জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৬২৪
৬) সাওম (রোযা) পালনকারীদের জন্য জান্নাতে রাইয়ান নামক দরজা রয়েছে
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, সাওম (রোযা) পালনকারীদের জন্য জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে রায়্যান বলা হয়, সে দরজা দিয়ে সাওম (রোযা) পালনকারীগণ ব্যতীত অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যখন তাদের শেষ ব্যক্তি প্রবেশ করে ফেলবে, সে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সে পানি পান করবে আর যে পানি পান করবে সে কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না।
রেফারেন্সঃ সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২২৩৬
৭) সিয়াম পালন এর দুই আনন্দ
সিয়াম পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। একটি হলো যখন সে ইফত্বার করে আনন্দিত হয়, অপরটি হলো যখন সে মহান আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন সে আনন্দিত হবে। সে মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! নিশ্চয়ই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহ্ তা’আলার কাছে মিশ্কের সুগন্ধের চেয়েও তীব্র।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৯৮, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১১৫১
৮) জান্নাত লাভ
হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার বুকে হেলান দিয়ে ছিলেন। সেই সময় তিনি বললেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’বলার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন সিয়াম রাখার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কিছু সাদকাহ করার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সেও জান্নাত প্রবেশ করবে।” (আহমাদ, সহীহ তারগীব ৯৮৫)
রেফারেন্সঃ হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১০৩৫
৯) রোজা কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে
রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে রব! আমি তাকে খাদ্য ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, (অর্থাৎ না ঘুমিয়ে সে তেলাওয়াত করেছে) অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। নবীজি (সা.) বলেন, অতঃপর তাদের উভয়ের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’
রেফারেন্সঃ মুসনাদে আহমদ : ৬৬২৬; মুসতাদরাকে হাকিম : ২০৮০
১০) সাওম প্রবৃত্তি দমনকারী
তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা বিয়ে চোখকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে সংযত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন সওম পালন করে। সওম তার প্রবৃত্তিকে দমন করে।
রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯০৫
১১) সাওম অতুলনীয় ইবাদত
আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি একবার রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বললামঃ আমাকে এমন একটি ইবাদাতের নির্দেশ দিন যা আমি আপনার নির্দেশ ক্রমে পালন করব। তিনি বললেনঃ তুমি সাওম (রোযা) কে আঁকড়ে ধর যেহেতু এর কোন বিকল্প নাই।
রেফারেন্সঃ সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২২২০
যেহেতু সাওমের দ্বারা আত্মসংযমের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয়। তাকওয়ার অধিকারী মুত্তাকী ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে সম্মানিত। আল্লাহ বলেন,”তোমাদের মধ্যে যে বেশি মুত্তাকী সে আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানিত।
১২) রোযাদারের জন্য ফেরেশতাগণের দুআ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রোযাদার ব্যক্তির সামনে বেরোযদার লোকেরা যদি খায় তাহলে ফেরেশতাগণ তার (রোযাদারের) জন্য দু‘আ করেন।
রেফারেন্সঃ জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৮৫
১৩) রোযাদারের দুআ কবুল হয়
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ধরনের লোকের দু’আ কখনও ফিরিয়ে দেয়া হয় না। রোযাদার যতক্ষণ ইফতার না করে, সুবিচারক শাসকের দু’আ এবং মজলুমের (নির্যাতিতের) দু’আ।
রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)৩৫৯৮
১৪) শীতকালের রোযা
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শীতকালের রোযা হচ্ছে বিনা পরিশ্রমে যুদ্ধলব্ধ মালের অনুরূপ।
রেফারেন্সঃ জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৯৭
১৫) আশুরার সিয়াম
‘আশুরার সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহ্র কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফ্ফারাহ্ হয়ে যাবে।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৩৬
১৬) আরাফার সিয়াম
আরাফাহ্ দিবসের সওম সম্পর্কে আমি আল্লাহ্র কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৩৬
১৭) শাওয়াল মাসের সিয়াম
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ রমাযান মাসের সিয়াম পালন করে পরে শাও্ওয়াল মাসে ছয়দিন সিয়াম পালন করা সারা বছর সওম পালন করার মত।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৪৮
গুরুত্ব
১) সাওম আল্লাহর প্রিয়
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ্র নিকট পছন্দনীয় সওম হচ্ছে দাঊদ (আঃ)-এর সওম এবং তাঁর নিকট পছন্দনীয় সলাত হচ্ছে দাঊদ (আঃ)-এর সলাত। তিনি অর্ধরাত ঘুমাতেন। অতঃপর এক তৃতীয়াংশ রাত ‘ইবাদাতে থাকতেন। অতঃপর এক ষষ্ঠাংশ রাত ঘুমাতেন। তিনি একদিন সওম পালন করতেন এবং একদিন বাদ দিতেন।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬২৯
২) প্রতিমাসে সিয়াম পালন সম্পর্কে
আল্লাহর শপথ! তিনি আজীবন রমাযান ছাড়া অন্য কোন সময় পূর্ণ এক মাস সিয়াম পালন করেননি। আর এমন কোন মাসও অতিবাহিত হয়নি যাতে তিনি অন্তত কিছু সিয়াম পালন করেননি।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬০৭
৩) মুহাররম মাসের সিয়াম
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: রমাযানের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সওম হচ্ছে আল্লাহ্র মাস মুহাররমের সওম এবং ফরয সলাতের পর সর্বোত্তম সলাত হচ্ছে রাতের সলাত।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৪৫
৪) সোম-বৃহস্পতিবারের সিয়াম
*রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার সাওম পালন করতেন। (সাওম পালন করাকে অধিক গুরুত্ব দিতেন)।
রেফারেন্সঃ সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৩৬০
আল্লাহ্ তাআলা সোমবার ও বৃহস্পতিবার এ দু’ দিন পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী দু’ ব্যক্তি ব্যতীত প্রত্যেক মুসলমানকে ক্ষমা করেন। তিনি (ফেরেশতাদের) বলেন, তারা সন্ধিতে আবদ্ধ হওয়া অবধি তাদের ত্যাগ করো।
রেফারেন্সঃ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৭৪০
*রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহ তা’আলার দরবারে) আমল পেশ করা হয়। সুতরাং আমার আমলসমূহ যেন রোযা পালনরত অবস্থায় পেশ করা হোক এটাই আমার পছন্দনীয়।
রেফারেন্সঃ জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৪৭
৫) শাবান মাসের সিয়াম
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শা’বান মাসের চাইতে বেশী (নফল) সওম কোন মাসে পালন করতেন না। তিনি (প্রায়) পুরা শা’বান মাসই সওম রাখতেন এবং তিনি বলতেনঃ তোমাদের মধ্যে যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু (নফল) আমল করো, কারণ তোমরা (আমল করতে করতে) পরিশ্রান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলা (সাওয়াব দান) বন্ধ করেন না।
রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯৭০
৬) আশুরার সাওম
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে, ইয়াহুদীগণ ‘আশুরার দিনে সওম পালন করে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কি ব্যাপার? (তোমরা এ দিনে সওম পালন কর কেন?) তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এ দিনে আল্লাহ তা’আলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর কবল হতে নাজাত দান করেন, ফলে এ দিনে মূসা (আ) সওম পালন করেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী, এরপর তিনি এ দিনে সওম পালন করেন এবং সওম পালনের নির্দেশ দেন।
রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০০৪
৭) প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন
*প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম পালন কর। কেননা প্রত্যেক নেক কাজের জন্য দশগুণ সাওয়াব পাওয়া যায়। এতেই সারা জীবন সিয়াম পালন করার সাওয়াব পাওয়া যাবে।
রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬১৯
*তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের অন্তরের ওয়াস্ওয়াসা বিদূরীত করার আমল সম্পর্কে অবহিত করব না? তা হল প্রত্যেক মাসের তিন দিন সাওম (রোযা) পালন করা।
রেফারেন্সঃ সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৩৮৫
৮) আইয়ামে বীজের রোযা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছেনঃ হে আবূ যার! তুমি প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করতে চাইলে তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে তা পালন কর।
রেফারেন্সঃ জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৬১
৯) সিয়াম হল ফিৎনার কাফফারার
পরিবার, ধন-সম্পদ এবং প্রতিবেশীই মানুষের জন্য ফিতনা। সালাত, সিয়াম এবং সদকা এর কাফ্ফারা হয়ে যায়।
রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯৫
১০) গুনাহর কাফফারা
হজ্জ উমরায় সময়ের আগে মাথা মুন্ডন করলে তিনটি সিয়াম (২:১৯৬)
সন্ধি চুক্তি আছে এমন কাফিরকে ভুলক্রমে হত্যা করলে টানা দুই মাস সিয়াম(৪:৯২)
কসমের কাফফারার টানা তিন দিন সিয়াম(৫:৮৯)
যিহারের কাফফারার টানা দুই মাস সিয়াম(৫৮:৩-৪)
রমজানে দিনের বেলায় সহবাসের কাফফারা টানা দুই মাস সিয়াম (জামে’ আত-তিরমিজি ৭২৪)