hatimanis88

lion4d

hatimanis88

hatimanis88

ফরজ সালাতের পর যিকরসমূহ
Cover

ফরজ সালাতের পর যিকরসমূহ

বিভাগ: বেসিক ইসলাম

সম্ভাব্য পড়ার সময়: ৩ মিনিট

৩ বার আস্তাগফিরুল্লা-হ

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
” আস্তাগফিরুল্লা-হ ”
আমি আল্লাহ্‌র ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

১ বার

اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
” আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম ”
হে আল্লাহ্‌, আপনিই সালাম (শান্তি), আপনার থেকেই শান্তি, হে মহাসম্মানের অধিকারী ও মর্যাদা প্রদানের অধিকারী, আপনি বরকতময়।

৩৩ বার ” সুবহা-নাল্লা-হ ” আল-‘হামদু লিল্লা-হ ” আল্লাহু আকবার “

سُبْحَانَ اللَّهِ
” সুবহা-নাল্লা-হ ”
আল্লাহ্‌ পবিত্র-মহান ।
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
” আল-‘হামদু লিল্লা-হ ”
সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য
اَللَّهُ أَكْبَر
” আল্লাহু আকবার ”
আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ

১ বার

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
” লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া‘হদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু, ওয়া হুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর ”
আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
রেফারেন্সঃ সহীহ মুসলিম ১২২১,১২৩৯

সাওবান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে তিনবার ইসতিগফার করতেন এবং বলতেন- “আল্ল-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-মু তাবা-রকতা যাল জালা-লি ওয়াল ইকর-ম”

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমিই শান্তিময় এবং তোমার থেকে শান্তি আসে। তুমি কল্যাণময় এবং সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী।)।

হাদীস বর্ণনাকার ওয়ালীদ বলেন- আমি আওযাঈকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিভাবে ইস্তিগফার করতেন। তিনি বললেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন- আস্তাগফিরুল্ল-হ, আস্তাগফিরুল্ল-হ’ ~সহীহ মুসলিম ১২২১ 

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের শেষে

তেত্রিশবার আল্লাহর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার আল্লাহর তাহমীদ বা আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং তেত্রিশবার তাকবীর বা আল্লাহর মহত্ব বর্ণনা করবে আর এভাবে নিরানব্বই বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর”

(অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি একক ও তার কোন অংশীদার নেই। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সব প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম- তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয় ~সহীহ মুসলিম ৫৯৭

১০ বার ” সুবহা-নাল্লা-হ ” আল-‘হামদু লিল্লা-হ ” আল্লাহু আকবার “

سُبْحَانَ اللَّهِ
” সুবহা-নাল্লা-হ “
আল্লাহ্‌ পবিত্র-মহান
 اَلْحَمْدُ لِلَّهِ
আল-‘হামদু লিল্লা-হ
সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য
 اَللَّهُ أَكْبَر
” আল্লাহু আকবার “

আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ

রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদের একটি ‘আমাল বাতলে দেব না, যে ‘আমাল দ্বারা তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের মর্যাদা লাভ করতে পারবে, আর তোমাদের পরবর্তীদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারবে, আর তোমাদের মত ‘আমাল কেউ করতে পারবে না, কেবলমাত্র যারা তোমাদের মত ‘আমাল করবে তারা ব্যতীত। সে ‘আমাল হলো *তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ১০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’, ১০ বার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ এবং ১০ বার ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করবে।* ~রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী ৬৩২৯

আয়াতুল কুরসী

আয়াতুল কুরসী ১ বার –

اللَّـهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ ﴿٢٥٥﴾
আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা। ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম।
আল্লাহ্‌, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।

উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তা পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে। রেফারেন্সঃ বুখারী ২৩১১

দ্রষ্টব্যঃ ফজরের সালাতের পরে একবার পাঠ করলেই সকালে পাঠের ফযীলত ও সালাতের পরে পাঠের ফযীলত, উভয় প্রকার ফযীলত লাভ করবেন; ইনশা আল্লাহ্‌।

আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পশ্চাতে ’আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না। রেফারেন্সঃ হাদীস সম্ভার ১৪৬৩ (নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮, ত্বাবারানী ৭৫৩২, সহীহুল জামে ৬৪৬৪)

 

WIP (1)
শেয়ার:

Leave a Comment

hatimanis88

lion4d

hatimanis88

hatimanis88