TenGoodDeeds

দৈনন্দিন পালন করার মত ১০ টি সহজ আমল!

বিভাগ: বেসিক ইসলাম

সম্ভাব্য পড়ার সময়: ১ মিনিট

১) সুরা আলে ইমরান ১৯০-২০০ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত

রাসূলাল্লাহ ﷺ তাহাজ্জুদের জন্য ঘুম থেকে যখন উঠতেন তখন সূরা আলে ইমরানের ১৯০-২০০ আয়াত পর্যন্ত পড়তেন।

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য একটি বিছানা বিছানো হল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটার লম্বালম্বি দিকে ঘুমালেন। এরপর জাগ্রত হয়ে মুখমন্ডল থেকে ঘুমের প্রভাব মুছতে লাগলেন এবং সূরাহ আলে ’ইমরানের শেষ দশ আয়াত পাঠ করে শেষ করলেন। তারপর ঝুলন্ত একটি পুরাতন মশকের পানিপাত্রের নিকটে এসে তা ধরলেন এবং উযূ করে সালাতে দাঁড়ালেন।” ~রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারী ৪৫৭০

২) তাহাজ্জুদ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেনঃ আমার নিকট দু’আ করবে কে? আমি তার দু’আ কবূল করবো। আমার নিকট কে চাবে? আমি তাকে দান করবো। আমার কাছে কে তার গুনাহ ক্ষমা চাবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো।” ~রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারী ৬৩২১

৩) বিতর সলাত

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “হে কুরআনের ধারকগণ! তোমরা বিতর আদায় করো। কেননা আল্লাহ বেজোড়, তাই তিনি বেজোড়কে ভালবাসেন।” ~রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪১৬

৪) ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সলাত

রাসূলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দু’ রাক‘আত সলাত সম্পর্কে বলেছেন যে, ঐ দু’ রাক‘আত সলাত আমার কাছে সারা দুনিয়ার সব কিছু থেকে অধিক প্রিয়। ~রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম ১৫৭৪

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ফাজ্‌রের দু’ রাক‘আত (সুন্নাত) সলাত দুনিয়া ও তার সব কিছুর থেকে উত্তম।
~রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম ১৫৭৩

৫) ফরজ সালাতের পর যিকির

প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের পর যিকরসমূহ | Dhikr After Salah (Prayer)

৬) চাশত

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রতিটি দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে তোমাদের প্রত্যেকের প্রতিটি অস্থি-বন্ধনী ও গিঁটের উপর সদাক্বাহ্‌ ওয়াজিব হয়। সুতরাং প্রতিটি তাসবীহ্‌ অর্থাৎ ‘সুবহানাল্ল-হ’ বলা সদাক্বাহ্‌ হিসেবে গন্য হয়। প্রতিটি তাহমীদ অর্থাৎ ‘আলহম্‌দুলিল্লা-হ’ বলা তার সদাক্বাহ্‌ হিসেবে গন্য হয়। প্রতিটি ‘আল্ল-হু আকবর’ তার জন্য এবং ‘নাহী আনিল মুনকার’ অর্থাৎ খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার প্রতিটি প্রয়াসও তার জন্য অনুরুপ সদাক্বাহ বলে গন্য হয়। তবে ‘যুহা’ বা চাশ্‌তের মাত্র দু রাক‘আত সলাত যদি সে আদায় করে তাহলে তা এ সবগুলোর সমকক্ষ হতে পারে। ~রেফারেন্সঃ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৫৫৬

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি : মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেছেন, হে আদম সন্তান! তোমরা দিনের পূর্বহ্নের মধ্যে চার রাক’আত সলাত হতে আমাকে ত্যাগ করো না, তাহলে আমি আখিরাতে তোমার জন্য যথেষ্ট হবো।~রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১২৮৯

৭) ১২ রাকাত সুন্নত সালাত

উম্মু হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি দিন রাতে বার রাক’আত নামায আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে।

  • যুহরের নামাযের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত,
  • মাগরিবের নামাযের পরে দুই রাকাআত,
  • ইশার নামাযের পরে দুই রাকাআত এবং
  • ভোরের ফজরের নামাযের পূর্বে দুই রাকাআত।

~রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী ৪১৫ (তাহকীককৃত); নাসায়ী ১৮০১, ইবনু মাজাহ  ১১৪১

৮) সকাল সন্ধ্যা যিকির

৯) সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সূরা বাকারার শেষে এমন দু’টি আয়াত রয়েছে যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দু’টি তিলাওয়াত করবে তার জন্য এ আয়াত দু’টোই যথেষ্ট। ~রেফারেন্সঃ সহিহ বুখারী ৪০০৮

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ঘরে তিন রাত সূরা বাকারার শেষ দু‘টি আয়াত তিলাওয়াত করা হয় শাইতান সেই ঘরের নিকট আসতে পারে না। ~রেফারেন্সঃ জামে’ আত-তিরমিজি ২৮৮২

১০) সূরা মূলক

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুরআনে তিরিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সূরাহ রয়েছে। সূরাহটি তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে, শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। সূরাহটি হচ্ছে ‘তাবারকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুল্‌ক’। ~রেফারেন্সঃ সুনানে আবু দাউদ ১৪০০

শেয়ার:
guest

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments