৫ মিনিটের মাদ্রাসা | ১৭ রবিউস সানী, ১৪৪৪ হিজরি - Madrasah in Just 5 Minutes | 17 Rabi Al Thani, 1444

0
পোস্ট কনটেন্ট

মুফতি আফজাল হুসেন ইলিয়াস সাহেব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন সিনিয়র আলিম যিনি আমাদের দ্বীনের উন্নতি, সুরক্ষা এবং অগ্রগতির জন্য অসংখ্য উপায়ে বিশাল অবদান রেখেছিলেন। মুফতি আফজাল হুসেন ইলিয়াস সাহেব রাহমাতুল্লাহি আলাইহির "Madrasah in Just 5 Minutes (360 Short Lessons in 10 Categories)" নামে সম্পাদিত বইটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে "৫ মিনিটের মাদ্রাসা " নামের সিরিজটি ধারাবাহিক রাখতে চাচ্ছি ইনশা আল্লাহ্। বইটিতে প্রতিদিনের জন্য পাঁচ মিনিটের শিক্ষামূলক পাঠ সংকলন করা হয়েছে। এই পাঠগুলি ১০টি বিভাগে বিভক্ত। যেমন;

০১. ইসলামিক ইতিহাস

০২. আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ক্ষমতা/রাসূল ﷺ এর মুজিযা

০৩. একটি ফরয

০৪. একটি সুন্নাত

০৫. একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এর ফযীলত

০৬. একটি পাপ/গুনাহ

০৭. এই দুনিয়া সম্পর্কে

০৮. আখিরাত সম্পর্কে

০৯. কুরআন ও সুন্নাত থেকে রোগ নিরাময়/চিকিৎসা

১০. কুরআনের উপদেশ/ রসূলুল্লাহ ﷺ এর নসীহত।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা চাইলে আকর্ষণীয় এবং শিক্ষণীয় এই কাজ থেকে সবাই উপকৃত হবে আশা রাখছি।

আজ ১৭ রবিউস সানী, ১৪৪৪ হিজরি

 

১০টি বিভাগে সাজানো ধারাবাহিক এই সিরিজে আজকের পাঠের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হলঃ

 ইসলামিক ইতিহাসঃ 

আল্লাহ তায়ালা নভোমন্ডল ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।

এ সম্পর্কে সূরা হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) এর আয়াতঃ ৯-১২ এ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

বল- তোমরা কি তাঁকে অস্বীকারই করছ যিনি যমীনকে সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে আর তাঁর সমকক্ষ বানাচ্ছ? তিনিই তো বিশ্বজগতের রব্ব।
(যমীন সৃষ্টির পর) তার বুকে তিনি সৃদৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, যমীনকে বরকতমন্ডিত করেছেন আর তাতে প্রার্থীদের প্রয়োজন মুতাবেক নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য সঞ্চিত করেছেন চার দিনে।
তারপর নজর দিয়েছেন আকাশের দিকে যখন তা ছিল ধোঁয়া (’র মত)। তখন তিনি আকাশ আর পৃথিবীকে বললেন- আমার অনুগত হও, ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। উভয়ে বলল- আমরা স্বেচ্ছায় অনুগত হলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে সাত আকাশে বিন্যস্ত করলেন দু’দিনে আর প্রত্যেক আকাশকে তার বিধি-ব্যবস্থা ওয়াহীর মাধ্যমে প্রদান করলেন। আমি আলোকমালার সাহায্যে দুনিয়ার আকাশের শোভাবর্ধন করলাম আর সুরক্ষার (ও ব্যবস্থা করলাম)। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর সুনির্ধারিত (ব্যবস্থাপনা)। 

 রাসূল ﷺ এর মুজিযাঃ 

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর, উমর, ‘উসমান (রাঃ) উহুদ পাহাড়ে আরোহণ করেন। পাহাড়টি নড়ে উঠল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে উহুদ! থামো তোমার উপর একজন নবী, একজন সিদ্দীক ও দু’জন শহীদ রয়েছেন। 

 সহীহ বুখারী ৩৬৭৫ (তাওহীদ পাবলিকেশন)

একটি ফরযঃ 

কারো কাছে যদি অন্য ব্যক্তির কোনো জিনিস থাকে তাহলে তার জন্য সেই জিনিসটি মালিককে ফেরত দেওয়া ফরজ।

সূরা আন-নিসা এর ৫৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন-

নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, হকদারদের হক তাদের কাছে পৌঁছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচার করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে কত উত্তম উপদেশই না দিচ্ছেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।

 একটি সুন্নাতঃ 

দু’আ একটি ইবাদাতঃ

নুমান ইবনু বাশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’আই হল ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করেন (অনুবাদ) “এবং তোমাদের রব বলেছেন, আমাকে তোমরা আহবান কর, আমি তোমাদের আহবানে সাড়া দিব। নিশ্চয় যে সকল লোক আমার ইবাদাত করতে অহংকার করে (বিরত থাকে), শীঘ্রই তারা ভৎসনার সঙ্গে জাহান্নামে প্রবেশ করবে”— (সূরা মু’মিন ৬০)।

📖 রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী  ৩৩৭২ (তাহকীককৃত)

 একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এর ফযীলতঃ 

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক জ্ঞানের খোঁজে কোন পথে চলবে, তার জন্য আল্লাহ তা’আলা জান্নাতের পথ সহজ করে দিবেন।

📖 রেফারেন্স: সুনান আত তিরমিজী ২৬৪৬ (তাহকীককৃত)

❻ একটি পাপ/গুনাহঃ 

মানুষকে রিজিক দান করার দায়িত্ব আল্লাহর। তাই দারিদ্র্যের কারণে শিশু হত্যা করা বা এ কারণে সন্তান গর্ভপাত করা একটি গুরুতর পাপ/গুনাহ ও হারাম, যেমনটি বর্তমান যুগে ঘটছে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

দরিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিযক দেই আর তোমাদেরকেও, তাদের হত্যা মহাপাপ।

 সূরা আল-ইসরা (বনী-ইসরাঈল)। আয়াতঃ ৩১

❼ এই দুনিয়া সম্পর্কেঃ 

আবূ বকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তম ব্যক্তি কে? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন পেয়েছে এবং তার আমল সুন্দর হয়েছে। সে আবার প্রশ্ন করল, মানুষের মধ্যে কে নিকৃষ্ট? তিনি বললেনঃ যে দীর্ঘ জীবন পেয়েছে এবং তার আমল খারাপ হয়েছে।

📖 রেফারেন্সঃ সুনান আত তিরমিজী ২৩৩০ (তাহকীককৃত)

❽ আখিরাত সম্পর্কেঃ 

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ, কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা মর্যাদার ব্যাপারে সবার পূর্বে।

📖 রেফারেন্সঃ সহীহ বুখারী ৮৭৬ (তাওহীদ পাবলিকেশন)

 কুরআন ও সুন্নাত থেকে রোগ নিরাময়/চিকিৎসাঃ 

জ্বীন ও শয়তান থেকে ঘরকে রক্ষা করাঃ

নুমান ইবনু বাশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আসমান-যামীন সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছেন। সেই কিতাব হতে তিনি দুটি আয়াত নাযিল করছেন। সেই দু’টি আয়াতের মাধ্যমেই সূরা আল-বাকারা সমাপ্ত করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করা হয় শাইতান সেই ঘরের নিকট আসতে পারে না।

📖 রেফারেন্সঃ  সুনান আত তিরমিজী ২৮৮২ (তাহকীককৃত)

 কুরআনের উপদেশঃ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আয়েশা! ক্ষুদ্র গুনাহ থেকেও সাবধান হও। কারণ সেগুলোর জন্যও আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে।

📖 রেফারেন্সঃ সুনান ইবনু মাজাহ ৪২৪৩

 

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
উপরে যান